ডিজেল ইঞ্জিন ও পেট্রোল ইঞ্জিনের পার্থক্য – গাড়ী ক্রেতাদের মধ্যে প্রচলিত এক Confusions পেট্রোল ইঞ্জিন এবং ডিজেল ইঞ্জিন মধ্যে পার্থক্য। সম্ভবত সাধারণ জ্ঞান বা ধারণা হল ডিজেল মোটর Noisier এবং তাদের কম্পন অসহনীয় হয়, যদিও পেট্রল মোটর মসৃণ চালায় ওয়েল এই যদিও সত্য থেকে দূরে নয়।
কিন্তু, আধুনিক ইঞ্জিন প্রযুক্তির সাথে, ডিজেল ইঞ্জিনগুলি পূর্বের তুলনায় বেশি প্রতিযোগিতা মূলক, তাই আমাদের গাড়িগুলি কার্যকরীভাবে চলছে, এবং আমাদেরও ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এবং চাহিদা রয়েছে।

ডিজেল ইঞ্জিন ও পেট্রোল ইঞ্জিনের পার্থক্য

  • ডিজেল ইঞ্জিনে জ্বালানি হিসেবে ডিজেল ব্যবহার করা হয় অন্যদিকে পেট্রোল ইঞ্জিনে জ্বালানি হিসেবে পেট্রোল ব্যবহার করা হয়।
  • ডিজেল ইঞ্জিনের ফুয়েল লাইনার ধাতব পদার্থের হয়ে থাকে অন্যদিকে পেট্রোল ইঞ্জিনের ফুয়েল লাইনার রাবার/প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থের হয়ে থাকে।
  • ডিজেল ইঞ্জিনে হাই প্রেসার ফুয়েল পাম্প ব্যবহার করা হয় অন্যদিকে পেট্রোল ইঞ্জিনে হাইপ্রেশার ফুয়েল পাম্প এর পরিবর্তে ডিস্ট্রিবিউটর ব্যবহার করা হয়।
  • ডিজেল ইঞ্জিনে ইনজেক্টর ব্যবহার করা হয় অন্যদিকে পেট্রল ইঞ্জিনে ইনজেক্টর এর পরিবর্তে স্পার্ক প্লাগ ব্যবহার করা হয়।
  • ডিজেল ইঞ্জিনে একটি ভালভ (ইনটেক) ব্যবহার করা হয় অন্যদিকে পেট্রোল ইঞ্জিনে দুইটি ভালভ (ইনটেক এবং এ্যাগজষ্ট) ব্যবহার করা হয়।
  • ডিজেল ইঞ্জিনে এয়ার ক্লিনার ব্যবহার করা হয় না অন্যদিকে পেট্রল ইঞ্জিনে এয়ার ক্লিনার ব্যবহার করা হয়।
  •  ডিজেল ইঞ্জিন ওজনে ভারী হয়ে থাকে অন্যদিকে পেট্রোল ইঞ্জিন ওজনে ডিজেল ইঞ্জিনের চেয়ে অনেকটা হালকা।
  •  ডিজেল ইঞ্জিন ওজনে ভারী হয়ে থাকে অন্যদিকে পেট্রোল ইঞ্জিন ওজনে ডিজেল ইঞ্জিনের চেয়ে অনেকটা হালকা।
  •  ডিজেল ইঞ্জিন ডিজেল সাইকেলে কাজ করে অন্যদিকে পেট্রোল ইঞ্জিন অটো সাইকেলে কাজ করে।

ইঞ্জিন কাকে বলে এবং কি কি?

ডিজেল ইঞ্জিন ও পেট্রোল ইঞ্জিনের পার্থক্য – ইঞ্জিন বলতে একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রকে বুঝায় যাহা জ্বালানি দহনের মাধ্যমে তাপ শক্তিকে ব্যবহার করে নিজে চলে এবং যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করার মাধ্যমে অন্যান্য যন্ত্রাদি কে চালায় তাকে ইঞ্জিন বলে।
জ্বালানি অনুসারে ইঞ্জিন দুই প্রকার। যথাঃ

  • পেট্রোল ইঞ্জিন (Petrol Engine)
  • ডিজেল ইঞ্জিন (Diesel Engine)

পেট্রোল ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে?

ডিজেল ইঞ্জিন ও পেট্রোল ইঞ্জিনের পার্থক্য – আমরা প্রথমেই জেনেছি ইঞ্জিনে চারটি ঘাত সম্পন্ন হয়। সেগুলো হলো সাকশন, কম্প্রেশন, পাওয়ার, একজস্ট। সাকশন স্ট্রোকে ইনটেক ভালভ খুলে যায় এবং পিস্টন টিডিসি থেকে বিডিসি এ যায় এবং সাথে সাথে ইনটেক ভালভ দিয়ে বাতাস এবং জ্বালানির মিশ্রণ প্রবেশ করে।
তারপর কম্প্রেশন স্ট্রোকে এসে ইনটেক ভালভ বন্ধ হয়ে যায় এবং পিস্টন এ এসে ইনটেক ভালভ বন্ধ হয়ে যায় এবং পিস্টন থেকে আবার ঞউঈ তে চলে যাবে এতে করে বাতাস এবং যে জ্বালানি এসেছিল তা কম্প্রেসড বা সংকুচিত হয়ে যায়। এই কম্প্রেশন স্টক শেষ হবার ঠিক সামান্য আগেই স্পার্ক প্লাগ জলে ওঠে।
যার ফলে কম্প্রেশন চেম্বার এবং জ্বালানির সাথে স্পার্ক এর বিস্ফোরণ হয় ফলে এখান থেকে শক্তি উৎপন্ন হয়। যা ইঞ্জিনে আউটপুট হিসেবে যায়। যাবার ফলে এগজস্ট ভালভ খুলে যায়। ফলে ধোয়া এগজস্ট মেনেফোল্ড হয়ে বাইরে চলে যায়।

ডিজেল ইঞ্জিন যেভাবে কাজ করে?

ডিজেল ইঞ্জিন ও পেট্রোল ইঞ্জিনের পার্থক্য – ইঞ্জিন হেড ইঞ্জিন ব্লক এবং কৃঙ্কেস মিলেে একটি সিলিন্ডার হাউজ তৈরি করা হয় এখানে ইঞ্জিন হেড ইন্জেক্টর ইনটেক মাল একজস্ট ভালো লাগানো হয় এবং এটি ক্যামশ্যাফট এর ক্যামেরা একচুয়েট করা হয় ইঞ্জিন ব্লক পিস্টন লাগানো হয় এবং এই পিস্টনের পিনের সাথে কানেক্টিং রড লাগানো হয়। কানেক্টিং রডের বিগ এন্ড বিয়ারিং এর সাথে ক্রণকশাফট লাগানো থাকে। ইঞ্জিনে চারটি স্ট্রোক থাকে-

  • সাকশন
  • কম্প্রেশন
  • পাওয়ার
  • এগজস্ট

ডিজেল ইঞ্জিন ও পেট্রোল ইঞ্জিনের পার্থক্য – এই ইঞ্জিনে ইনটেক ভালভ খুলে যাওয়া মাত্র পিস্টন টিডিসি থেকে বিডিসি যায় এবং কম্প্রেশন চেম্বার এ বিশুদ্ধ বাতাস প্রবেশ করে। এরপর কম্প্রেশন স্ট্রোকে ইনটেক ভালভ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পিস্টন বিডিসি থেকে টিডিসি তে যায় এবং ভিতরে প্রবেশ কৃত বাতাস সংকুচিত হয় এবং তাপমাত্রা বাড়ে।
ডিজেল ইঞ্জিন ও পেট্রোল ইঞ্জিনের পার্থক্য – এখন এই কম্প্রেশন স্ট্রোকে শেষ হবার ঠিক আগেই ইঞ্জেক্টর এর মাধ্যমে ডিজেল স্প্রে করা হয়। যার ফলে কম্পাশন চেম্বার এ বিস্ফোরণ ঘটে এবং শক্তি উৎপন্ন হয়। ফলে পিস্টন টিডিসি থেকে বিডিসি তে চলে যায় এবং এটি ক্রাঙ্কশ্যাফট এ আউটপুট হিসেবে যায়। পাওয়ার স্ট্রোক শেষ হবার পর যে ধোঁয়া উৎপন্ন হয়, পিস্টন টিডিসি থেকে বিডিসি তে যাবার ফলে এগজস্ট ভালভ খুলে যায়। ফলে ধোয়া এগজস্ট মিনিফোল্ড দিয়ে বের হয়ে যায়।