চেহারার সাথে মানানসই চশমার ফ্রেমটি বাছাই করবেন যেভাবে

আপনি আপনার চশমাটি নিয়ে কতোটা সন্তুষ্ট তা ফ্রেমের উপর অনেকটাই নির্ভর করে। কিন্তু সঠিক ফ্রেম বেছে নেওয়াটা বেশ ঝক্কির কাজ। বাজারে এতো হরেক রকম ফ্রেমের ভিড়ে কনফিউজ হয়ে যাওয়াটা নিতান্তই স্বাভাবিক।

তবে চিন্তার কিছু নেই, আসুন জেনে নেই আপনার চেহারার সাথে ঠিকঠাক মানানসই ফ্রেমটি চিনে নিবেন কি করে-

চেহারার সাথে মানানসইতাঃ-

আপনি যদি কেনার কথা ভেবে থাকেন, তবে চশমা কেনার জন্য দোকানে যাওয়ার আগে প্রথমে আপনার চেহারার আকার জানতে হবে। আপনার চেহারা যেমনই হোক নির্ভর করবে সেতার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের উপর। এটার উপরই নির্ভর করবে কোন সাইজের চশমা আপনার চেহারায় ভালো দেখাবে এবং পরতে আরামদায়ক হবে।

আপনার চেহারার আকৃতি কিভাবে বুঝবেন-

গোল আকৃতির চেহারাঃ যদি চেহারায় কোন কৌণিক বিন্দু না থাকে, তাহলে এটি গোলাকৃতির চেহারা।

ডিম্বাকৃতি চেহারাঃ এ ধরণের চেহারার দৈর্ঘ্য প্রস্থের চেয়ে দ্বিগুণ হয়ে থাকে। চেহারার থুতনি কপালের আকারের থেকে সরু হয়ে থাকে এবং চোখের নিচের গালের অংশ উচু থাকে।

হার্ট-শেইপ চেহারাঃ এ ধরণের চেহারার কপালের অংশ বড় থাকে আর থুতনির দিকের অংশ সরু থাকে।

ডায়ামন্ড-শেইপ চেহারাঃ এ ধরণের চেহারায় কপালের অংশ আর চোয়ালের অংশ প্রায় সমান থাকে।

কিভাবে বুঝবেন কোন ফ্রেমটি আপনার জন্য-

ওভাল বা ডিম্বাকৃতিঃ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মানুষের মুখ এই আকৃতির হয়ে থাকে। এটাকে সার্বজনীন আকৃতিও বলতে পারেন। এই আকৃতির মানুষের মুখমণ্ডল একটু বড় ও প্রশস্ত হয়ে থাকে।

ফ্রেমঃ এধরণের চেহারার জন্য আয়তক্ষেত্রাকার বা বর্গাকার ফ্রেম ভালো অপশন। তবে এতে যদি চেহারায় বেশি ভারিক্কি-ভাব চলে আসে, তাহলে বাটারফ্লাই বা প্রজাপতি-আকৃতির ফ্রেমগুলি ব্যবহার করে দেখুন। আশা করছি ভালো দেখাবে।

হার্ট বা হৃদয় আকৃতিঃ মাথার উপরের দিকে খানিকটা চওড়া এবং চোয়াল থেকে চিবুকের দিকে ধীরে ধীরে চাপা হয়ে আসে। এই আকৃতির মুখগুলোতে সাধারণত একটি দৃশ্যমান চোয়াল লাইন (জ লাইন) থাকে।

ফ্রেমঃ ফ্রেম নির্বাচনের সময় চেষ্টা করুন ফ্রেমটি যেন আপনার চোখের নিচের দিকে একটু প্রশস্ত হয় যাতে করে থুতনি খানিকটা সরু লাগে দেখতে। কম কারুকার্য করা বৃত্তাকার ফ্রেমগুলো এই ধরনের চেহারায় বেশ মানায়।

স্কয়ার বা বর্গাকৃতিঃ আপনার যদি খুব স্পষ্ট চোয়াল লাইন (জ লাইন) থেকে থাকে এবং সেকারনে তৈরি হওয়া মুখের কোণগুলো আপনার সৌন্দর্য বাড়ায়, তবে আপনি বর্গাকৃতি চেহারার অধিকারী। এই আকৃতির মুখমণ্ডলে চিবুক একটুখানি বড় মাপের হয়ে থাকে।

ফ্রেমঃ বর্গাকার এবং আয়তাকার ফ্রেমগুলো এধরণের মুখের সৌন্দর্য বেশ অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়।

রাউন্ড বা বৃত্ত আকৃতিঃ বৃত্ত আকৃতির মুখগুলো সাধারণত অনেকটা গোলাকার হয় এবং এতে কম কৌণিক বৈশিষ্ট্য থাকে। এধরণের মুখের চিবুকও প্রায় বৃত্তাকার হয়ে থাকে।

ফ্রেমঃ এধরণের চেহারায় বৃত্তাকার ফ্রেমগুলো বাদে অন্য সব আকৃতির ফ্রেমই বেশ মানিয়ে যায়।

ছোট আকৃতির চেহারায় কি রকম চশমা ব্যবহার করবেন-

যদি আপনার চেহারা ছোট হয় তাহলে সরু এবং ছোট ফ্রেমের রাউন্ডেড চশমা পরবেন।

যদি আপনার চেহারা ছোট সাইজ থেকে একটু বেশি হয় তাহলে সরু এবং ছোট ফ্রেমের স্কয়ার বা রেক্ট্যাঙ্গেল রাউন্ডেড চশমা পরবেন।

বড় আকৃতির চেহারায় কিরকম চশমা ব্যবহার করবেন-

লম্বা, বড় ও চওড়া চেহারায় মোটা ফ্রেমের ওভার-সাইজের চশমা পরবেন। তবে এই রকম ফ্রেমের চশমা নিবেন যাতে আপনার চেহারার একপাশ থেকে অন্যপাশ পুরোটাই কভার করে।